২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের দিকে আমাকে যখন টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে দু দু'বার টর্চার করে ছেড়ে দেওয়া হয়; তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার কাছের লোকগুলো কারা। তখন আমি দেখেছিলাম আমার কাছের লোকগুলোর মধ্যে আমার গর্ভধারীনি মা, আমার স্ত্রী, আমার ২ বোন, আমার ১ শিক্ষাগুরু ও আমার ন্যাংটা কালের ২ বন্ধু ছাড়া আমার পিছনে আর কেউ ছিলো না। আসলে বিপদে না পড়লে বন্ধু চেনা যায় না। পরের মাসে দেখলাম মা আমার জন্য রোজা করছেন। তার নাকি মানত ছিলো, ছেলে বিপদ থেকে উদ্ধার হলে ২ টা রোজা করবেন। ওহ মা তোমার তুলনা হয়না। তোমার তুলনা শুধু তুমিই।
আমার বিপদের দিনগুলোতে আমি যেখানে আত্মগোপন করে ছিলাম সেখানে আমার স্ত্রী আমার সাথে গোপনে দেখা করেছে, আমাকে সাহস জুগিয়েছে, বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য নানা রকম ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছে এবং সেগুলো সময় মত আমার কাছে পৌঁছে দিয়ে আমাকে সহায়তা করেছে। তার সহযোগিতা আমার কাছে ভোলার নয়। তাই আমার কাছে তার মর্যাদাও অনেক উপরে। আমার স্ত্রীর মত লক্ষ্মী স্ত্রী যেন বাংলাদেশের সকল ঘরে ঘরে থাকে, এই আমার কামনা। পাশাপাশি তার স্বামীরাও যেনো তাকে অকৃত্রিম ভালোবাসা দেয়, এটাও আমি সর্বাত্মকভাবে কামনা করি। আমি অনেক লক্ষ্য করে দেখেছি যে, আমরা পুরুষ জাতি আমাদের স্ত্রীদের যেটুকু ভালোবাসা দিই ফেরত পাই তার দ্বিগুনের চেয়ে বেশি। ( অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম ও থাকতে পারে। আমি এমন স্ত্রীলোক ও দেখেছি যাকে তার স্বামী প্রতিনিয়ত অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে যাচ্ছে, বিনিময়ে স্ত্রীর কাছে থেকে স্বামী পাচ্ছে শুধু অবহেলা আর লাঞ্ছনা। ধিক সেসব নারীর প্রতি যারা এমন আচরণ করে। )
আমার বিপদের দিনগুলোতে আমি যেখানে আত্মগোপন করে ছিলাম সেখানে আমার স্ত্রী আমার সাথে গোপনে দেখা করেছে, আমাকে সাহস জুগিয়েছে, বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য নানা রকম ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছে এবং সেগুলো সময় মত আমার কাছে পৌঁছে দিয়ে আমাকে সহায়তা করেছে। তার সহযোগিতা আমার কাছে ভোলার নয়। তাই আমার কাছে তার মর্যাদাও অনেক উপরে। আমার স্ত্রীর মত লক্ষ্মী স্ত্রী যেন বাংলাদেশের সকল ঘরে ঘরে থাকে, এই আমার কামনা। পাশাপাশি তার স্বামীরাও যেনো তাকে অকৃত্রিম ভালোবাসা দেয়, এটাও আমি সর্বাত্মকভাবে কামনা করি। আমি অনেক লক্ষ্য করে দেখেছি যে, আমরা পুরুষ জাতি আমাদের স্ত্রীদের যেটুকু ভালোবাসা দিই ফেরত পাই তার দ্বিগুনের চেয়ে বেশি। ( অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম ও থাকতে পারে। আমি এমন স্ত্রীলোক ও দেখেছি যাকে তার স্বামী প্রতিনিয়ত অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে যাচ্ছে, বিনিময়ে স্ত্রীর কাছে থেকে স্বামী পাচ্ছে শুধু অবহেলা আর লাঞ্ছনা। ধিক সেসব নারীর প্রতি যারা এমন আচরণ করে। )
ঐ সমসাময়িক কালের এক সকালে আমার ঐ ২ বন্ধু আমাকে বাসা থেকে আস্তে করে ডাকলেন। জানালেন আমার শত্রুরা কিভাবে আমার ক্ষতি করার পরিকল্পণা করছেন। তথ্যগুলো সঠিক ছিলো। আমি সেই মোতাবেক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তাই তারা আমার বিশেষ ক্ষতি করতে পারেনি। স্যালুট আমার ঐ ২ ন্যাংটা কালের বন্ধুদের।
আমি ওই মাসের আগ পর্যন্ত ও তাদের সাধারণ মানুষ হিসেবে সম্মান-শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু ওই মাস থেকে আমি তাদের মহামানব ( আমার কাছে মহামানব ) মনে করি। তখন থেকে আমি তাদের অন্তঃআত্মা দিয়ে ভালোবাসি। একেবারে নিখুঁত ভালোবাসা। যে ভালোবাসার মাঝে কোনো খাঁদ নাই। তাই আমাদের সবার উচিত সম্ভাব্য কাছের লোকগুলোর সাথে একটু বিশেষ সদ্ভাব রাখা; যারা বিপদের দিনে আমাদের / আমার কাজে আসতে পারে।
No comments:
Post a Comment