তখন আমার বয়স থার্টি ওয়ান। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা দেখি চলছে। আমি আমার কর্মস্থলে প্রতি দিনের ন্যায় কর্মদিবস শুরু করতে যাচ্ছি, এমন সময় একটা ফোন এলো। ফোন রিসিভের পর বুঝলাম জেলা শহর থেকে এক ঘটক আসতেছেন। সাথে মেয়ের বাবাও আছেন। মেয়ের বাবা আমার সাথে দেখা করবেন এবং আমার বাসায় ও যাবেন। ঘটক আরও জানালেন যে, ঐ ভদ্রলোকের মেয়ে বেশ সুন্দরী । আমি বললাম, আচ্ছা আসেন; সমস্যা নেই।
আমার সহকর্মীদের বললাম, শহর থেকে ঘটকের সাথে মেয়ের বাবা আসছেন, তাই বিশেষ নাস্তার ব্যাবস্থা করা হোক। কথা মত কাজ হলো। আম্মাজানকে ফোন দিয়ে জানালাম, শহর থেকে ঘটকের সাথে মেয়ের বাবা আসছেন, তাই বিশেষ নাস্তাসহ ২ জনের খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করা হোক। আম্মাজানও কথা মত কাজ করলেন।
ঘন্টা খানেক পর ঘটক এবং মেয়ের বাবা এসে আমার কর্মস্থলে হাজির হলো। তাকে সসম্মানে রিসিভও করা হলো। কিন্তু আমার মনের মাঝে শুরু হলো তোলপাড়। কারণ ঐ মেয়ের বাবার দ্বারা আমি একবার অপমানিত হয়েছি।
সেটা কয়েক মাস আগের কথা। এই ঘটকের মাধ্যমে আমি ঠিক এই মেয়ের বাবার বাসায় গিয়েছিলাম তার মেয়েকে দেখতে। মেয়ের বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তার পেনশনের টাকা দিয়ে তিনি একটি দ্বোতলা বাড়ি বানিয়েছেন। সন্তান ২ টা। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। মেয়েটি বড় এবং ছেলেটি ছোট। আমি যেদিন ঐ ভদ্রলোকের মেয়েকে দেখতে যাই সেদিন ঐ ভদ্রলোকের ছেলেটি ছিলো না। মেয়ের বাবা আমাদের ( আমি+ ঘটক ) দ্বিতীয় তলার গেস্ট রুমে বসতে দিলেন। চা-নাস্তা দিলেন। খেলামও আমরা। তার পর মেয়ে দেখার পালা। কিন্তু মেয়ে আমাদের সামনে আস্তে চাইছে না। ঘটকের কাছে জানতে চাইলাম, কি ঘটতে চলেছে। ঘটক মেয়ের বাবার কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে জানতে চাইলেন, কি ভাই মেয়ে কি দেখাবেন না ? কথাটা আমি শুনেই ফেললাম। সেই মুহুর্তে নিজেকে খুব ছোট লাগছিলো। একটু পর মেয়ের বাবা সব কথা খুলে বললেন। বললেন, আগামী সপ্তাহে মেয়ের বি সি এস এর রেজাল্ট হবে। আমরা দেখতে চাচ্ছি রেজাল্টে কি হয়, না হয় ? আমি আর দেরি করলাম না। ঘটককে নিয়ে তাড়াতাড়ি ঐ বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
এবার আসা যাক আগের কথায়। আমি তো ঘটকের উপর ক্ষিপ্ত। ঘটককে আমার কর্মস্থলের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে বললাম, এই লোককে আমার কাছে কেনো নিয়ে এসেছেন? ঘটক সোজাসুজি বলে ফেললেন, উনার মেয়ের বি সি এস এর চাকুরিটা হয়নি। তাই এখন তিনি আপনার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। এখন আপনি কি বলছেন তাই বলেন। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে বললাম, ভাবলেন কি করে আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করবো। ওই মেয়ের যদি বি সি এস এ চাকুরি হতো তা হলে কি আমার সাথে বিয়ের কথা ভাবতো ? ভাবতো না। ওনার মেয়ের দাম আছে, আমার দাম নাই। এ কথা শুনে ঘটক একদম বে-আক্কেল সেজে গেলো।
ঘটককে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে এবার ঠান্ডা মাথায় বললাম, আপনি ওনাকে নিয়ে ফিরে যান। আমি ওনার মেয়ের সাথে বিয়ে করতে ইচ্ছুক নয়। ঘটক সেটাই করার চেস্টা করল।
যাবার সময় মেয়ের বাবা আমাকে অনুরোধ করে বলল, বাবা আপনার মায়ের সাথে কি আমাকে একবার দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া যায় না। আমি বলেছিলাম, না।
আম্মাকে ফোন করে জানিয়েছিলাম, মেহমানদ্বয় আজ আর আসবেন না। বাসায় এসে সব বলব।
বাসায় আসার পর আম্মাকে সব কথা খুলে বললাম। আম্মাজান সব কথা শোনার পর আমাকে বললেন, তুমি এখনো সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওনি। ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। তুমি মেয়ের বাবাকে অসম্মান করেছ। কাউকে অসম্মান করে তুমি সম্মানিত হতে পারো না।
আমার মাথা একদম নিচু হয়ে গেলো।
সেটা কয়েক মাস আগের কথা। এই ঘটকের মাধ্যমে আমি ঠিক এই মেয়ের বাবার বাসায় গিয়েছিলাম তার মেয়েকে দেখতে। মেয়ের বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তার পেনশনের টাকা দিয়ে তিনি একটি দ্বোতলা বাড়ি বানিয়েছেন। সন্তান ২ টা। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। মেয়েটি বড় এবং ছেলেটি ছোট। আমি যেদিন ঐ ভদ্রলোকের মেয়েকে দেখতে যাই সেদিন ঐ ভদ্রলোকের ছেলেটি ছিলো না। মেয়ের বাবা আমাদের ( আমি+ ঘটক ) দ্বিতীয় তলার গেস্ট রুমে বসতে দিলেন। চা-নাস্তা দিলেন। খেলামও আমরা। তার পর মেয়ে দেখার পালা। কিন্তু মেয়ে আমাদের সামনে আস্তে চাইছে না। ঘটকের কাছে জানতে চাইলাম, কি ঘটতে চলেছে। ঘটক মেয়ের বাবার কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে জানতে চাইলেন, কি ভাই মেয়ে কি দেখাবেন না ? কথাটা আমি শুনেই ফেললাম। সেই মুহুর্তে নিজেকে খুব ছোট লাগছিলো। একটু পর মেয়ের বাবা সব কথা খুলে বললেন। বললেন, আগামী সপ্তাহে মেয়ের বি সি এস এর রেজাল্ট হবে। আমরা দেখতে চাচ্ছি রেজাল্টে কি হয়, না হয় ? আমি আর দেরি করলাম না। ঘটককে নিয়ে তাড়াতাড়ি ঐ বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
এবার আসা যাক আগের কথায়। আমি তো ঘটকের উপর ক্ষিপ্ত। ঘটককে আমার কর্মস্থলের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে বললাম, এই লোককে আমার কাছে কেনো নিয়ে এসেছেন? ঘটক সোজাসুজি বলে ফেললেন, উনার মেয়ের বি সি এস এর চাকুরিটা হয়নি। তাই এখন তিনি আপনার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। এখন আপনি কি বলছেন তাই বলেন। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে বললাম, ভাবলেন কি করে আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করবো। ওই মেয়ের যদি বি সি এস এ চাকুরি হতো তা হলে কি আমার সাথে বিয়ের কথা ভাবতো ? ভাবতো না। ওনার মেয়ের দাম আছে, আমার দাম নাই। এ কথা শুনে ঘটক একদম বে-আক্কেল সেজে গেলো।
ঘটককে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে এবার ঠান্ডা মাথায় বললাম, আপনি ওনাকে নিয়ে ফিরে যান। আমি ওনার মেয়ের সাথে বিয়ে করতে ইচ্ছুক নয়। ঘটক সেটাই করার চেস্টা করল।
যাবার সময় মেয়ের বাবা আমাকে অনুরোধ করে বলল, বাবা আপনার মায়ের সাথে কি আমাকে একবার দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া যায় না। আমি বলেছিলাম, না।
আম্মাকে ফোন করে জানিয়েছিলাম, মেহমানদ্বয় আজ আর আসবেন না। বাসায় এসে সব বলব।
বাসায় আসার পর আম্মাকে সব কথা খুলে বললাম। আম্মাজান সব কথা শোনার পর আমাকে বললেন, তুমি এখনো সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওনি। ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। তুমি মেয়ের বাবাকে অসম্মান করেছ। কাউকে অসম্মান করে তুমি সম্মানিত হতে পারো না।
আমার মাথা একদম নিচু হয়ে গেলো।
No comments:
Post a Comment