Tuesday, 20 December 2016

শিরোনামহীন

আমি মনে করি, সৃষ্টিকর্তা এক। আমাদের স্মৃতি যতটুকু ভাবতে পারে, এই ভাবার ক্ষমতা তিনিই আমাদের দিয়েছেন। আমরা যতটুকু কাজ করতে পারি, এই কাজ করার ক্ষমতা তিনিই আমাদের দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আমরা আরো যা ভাববো বা কল্পনা করবো এবং কাজ করবো তার ক্ষমতা তিনিই আমাদের দিবেন। তার একই জাতীয় সকল সৃষ্টিকে তিনি সমান নজর দিয়েই ভালোবাসেন। হউক সেটা জীব কিংবা জড়। এই পৃথিবীর সকল মানুষই তার দৃষ্টিতে সমান। সেটা যে ধর্মের, যে বর্ণের, যে আকৃতির হউক না কেনো। মানব সমাজে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে ভালো বাসবে, সহযোগিতা করবে, বিপদে এগিয়ে যাবে এটাই হলো শ্রেষ্ঠ মানবতা। মানবতা গুণ ব্যতিরেখে কোনো বন্দেগী চলতে পারে বলে আমার বিশ্বাস হয়না। 

 
মডেল ছবিঃ আমার চিন্তা-চেতনা


সকল মানুষই সৃষ্টিকর্তাকে পেতে পারে, যদি সে সঠিক পথে ধাবিত হতে পারে। সৃষ্টিকর্তাকে পাবার জন্য সৃষ্টিকর্তার বিশেষ সৃষ্টিই হতে হবে বলে আমি মনে করি না। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, যুগে যুগে সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে অনেক বিশেষ মানব প্রেরণ করেছেন। যদি তাই-ই হয়, তবে এ ও ঠিক যে, সৃষ্টিকর্তা ভবিষ্যতেও এই পৃথিবীতে অনেক বিশেষ মানব প্রেরণ করবেন; তা যে রূপেই হউক না কেনো। আমি এই মুহুর্তে যা ভাবছি তা যদি অসত্য হয়, তবে এই অসত্য বিষয় ভাবার ক্ষমতাতো সৃষ্টিকর্তাই আমাকে দিয়েছেন-তাই নয় কি? 

অনেকে মনে করেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। আমি মনে করি, মসজিদ পবিত্র স্থান মাত্র। আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা সর্বত্র বিরাজমান। তার জন্য পৃথক কোনো ঘরের প্রয়োজন হতে পারে বলে আমি মনে করি না। আমি যা বলছি তা কোরআন বা হাদিস না অধ্যয়ন না করেই বলছি, নিজের অতি সাধারণ জ্ঞান থেকেই বলছি। আমার কথার সাথে কেউ একমত হতে না পারলে আপনার নিজ গুনে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। 
 

Monday, 19 December 2016

ডায়েট কন্ট্রোল ও সেক্স

আমি খুব লক্ষ করে দেখেছি যে, ডায়েট কন্ট্রোল করলে সেক্স পাওয়ার কমে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেনো এমন হয়? আমার মতে ডায়েট কন্ট্রোল করলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি জনিত কারণে সেক্স পাওয়ার কমে যায়। আমি এ ও লক্ষ করে দেখেছি যে, ডায়েট কন্ট্রোল করার ফলে এসিডিটি বৃদ্ধি পায়/পেতে পারে। আসলে প্রাকৃতিকভাবে ডায়েট কন্ট্রোল করাটা বেশ কঠিন কাজ।

 
সেক্স পাওয়ার কমে যাওয়ার ফলে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে মনমালিন্য


এখন প্রশ্ন হলো, ডায়েট কন্ট্রোলকালে সেক্স পাওয়ার যেনো না কমে এবং এসিডিটি যেনো বৃদ্ধি না পায়, এজন্য করনীয় কি? আমার মতে করণীয় বিষয়গুলো হলোঃ
১. পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খেতে হবে।
২. পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
৩. সঠিক সময়ে খাবার খেতে হবে।
৪. নিয়মিত  ব্যায়াম করতে হবে।

বিঃ দ্রঃ আমি এখানে যা লিখেছি তা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি। বিষয়গুলো কারো কাছে কাকতালীয় বলে মনে হলে আমাকে ক্ষমা করবেন। কেননা আমার ধারণা ঠিক নাও হতে পারে।

Saturday, 17 December 2016

রাসেল মোল্লা

রাসেল মোল্লা ওরফে রাসেল এফ এক্স। বয়স ২৬ এর মতো হবে। অন লাইনে ফরেক্স ট্রেডিং করতে এসে তার সাথে আমার পরিচয় হয়। তাও আবার ফেস টু ফেস দেখা হয়নি। ফেসবুকে চ্যাট, ফোনে কথা ও সামান্য আর্থিক লেনদেনের মধ্যে এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক সীমাবদ্ধ। আমিই অবশ্য প্রথমে তাকে অন লাইনে নক করেছিলাম। ফরেক্স ট্রেডিং এ ভালো করার পরামর্শ পাওয়ার জন্য। ও পরামর্শ দিতেও চেয়েছিলো। কিন্তু ওর পরামর্শর সামারী আমার পছন্দের ছিলো না বিধায় তা আমি গ্রহণ করিনি। ওর পরামর্শ ছিলো RTS সিস্টেমে ট্রেড করা। যা আমার কাছে ইন্ডিকেটর নির্ভর এর সমমান বলে মনে হতো।



Profile photo
রাসেল মোল্লা


কয়েক দিন আগে এক ফেসবুক বন্ধু ( Hiran Mia ) আমাকে ফোন করে জানালো, সে নাকি প্রথমে একটা বিয়ে করে পরে ছেড়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে অন্য এক ভাড়া বাড়িতে আছে। বাবা মায়ের সাথে সে নাকি ভালো ব্যবহার করে না। তার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এখন তার বাবা দ্বিতীয় মাকে নিয়ে থাকে। ফেসবুক বন্ধুর কথা অনুযায়ী জানতে পারি, তার বাবাও নাকি একজন বাটপার। তবে রাসেল মোল্লা আমাকে ফোনে জানিয়েছিলো তার বাবা একজন ঠিকাদার। বিল্ডিং তৈরির কাজের সাথে যুক্ত।


রাসেল মোল্লা ওরফে রাসেল এফ এক্স

ইদানিং ( ডিসেম্বর'১৬ ) ফেজবুকপেজে তার উপস্থিতি নাই। তার প্রথম ফোন নম্বরটা বন্ধ ( নম্বরটা আমি জানতাম। তার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলার পর জানলাম সেটা সে আর ব্যবহার করে না। তাই ডিলেট করেছি )। দ্বিতীয় ফোন নম্বর বন্ধ ( 01733122470 ) । এখন যে নম্বরটা ব্যবহার করে সেটা হলো 01709908212. এটা আবার কখন বন্ধ হয়ে যায় কে জানে।                       


১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ খ্রি. ( সোমবার )> রাসেল আমাকে ফোন (+88 01709908212) করে জানালো আমি নাকি তার পুরুষ বন্ধুদের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছি। তার বন্ধু সজীবকেও আমি ওভার ট্রেকিং করেছি। আরো কথা বলে জানতে পারলাম, ও এখন প্রেম রোগে ভুগছে। কঠিন প্রেম, লাইলী মজনুর মত প্রেম হবে হয়তো।

Friday, 16 December 2016

চোখচাটা

'চোখচাটা' হলো সরিসৃপ জাতীয় এক আজব ও ভয়ংকর প্রাণি। এদের ৪ টি পা ও একটি লম্বা লেজ আছে। এরা প্রায় ২ হাত লম্বা হয়ে থাকে। এদের সবচেয়ে ভয়ংকর অঙ্গ হলো জিহবা। জিহবা দ্বারা এরা ছোট্ট দুষ্টু চঞ্চল সোনামনিদের চোখ চাটতে ভালোবাসে। 'চোখচাটা' শিশুদের চোখ চাটার ফলে চোখের মারাক্তক ক্ষতি হতে পারে। কখনো কখনো চোখের দৃষ্টিহানিও ঘটতে পারে। সাধারনত সন্ধ্যার সময় ও ভোর রাত্রে আমাদের দেশে চোখচাটার উপদ্রব বেশি লক্ষ করা যায়। সন্ধ্যার সময় শিশুরা যখন না ঘুমিয়ে কান্নাকাটি করে তখন এবং ভোর রাত্রে শিশুরা বিছানা ছেড়ে যখন বাহিরে বের হওয়ার চেষ্টা করে ঠিক তখনই চোখচাটার আক্রমন বেশি লক্ষ করা যায়। চোখচাটাকে শিশুরা কখনো দেখতে পায়না। সাধারাণত বাবা-মারাই এদের বেশি দেখতে পায়। চোখচাটাকে বাবা-মারা যখন তাড়া করে তখন তারা অদৃশ্য হয়ে পালিয়ে যায়। চোখের মারাত্মক ক্ষতি রোধের জন্য সকল শিশুর উচিত সন্ধ্যার সময় কান্নাকাটি না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া, সূর্য উঠার পর ঘুম থেকে উঠা এবং বাবা মার কথা মেনে চলা। 
 
চোখচাটা

ছোটকাল থেকেই আমার ইচ্ছা ছিলো চোখচাটা নিয়ে গবেষণা করা। এই চোখচাটা নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়া অতটা সহজ ছিলো না। কেননা শহরে চোখচাটা দেখা যায় না বললেই চলে। তাই চোখচাটা নিয়ে কাজ করার জন্য আমাকে দীর্ঘদিন নিভৃত পল্লীতে বসবাস করতে হয়েছে। চোখচাটারা অত বোকা নয় যে তারা সব সময় বাবা মাকে দেখা দেবে। শীতকালে সন্ধ্যাবেলায় এবং ভোররাত্রে আমি গ্রাম বাংলায় চোখচাটার অস্তিত্ব বেশি খুঁজে পেয়েছি। আমি এ ও লক্ষ করে দেখেছি যে, গ্রাম বাংলার বাবা মারা চোখচাটার প্রাদুর্ভাবের ব্যাপারে সাধারাণত ছোট্ট শিশুদের দোষারোপ করে থাকেন; যা একেবারে ঠিক নয়। শীতকালে বাবা মারা যদি তার সন্তানকে সন্ধ্যার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শীতের পোশাক পরিয়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ায়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয় তবে চোখচাটারা আর সে বাড়িতে আসে না। আর শীতকালে ভোর বেলাতে শিশুরা যদি শীতের পোশাক পরে ঘরের বাহিরে বের হয় তবেও চোখচাটারা সে সকল শিশুদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।