Friday, 16 December 2016

চোখচাটা

'চোখচাটা' হলো সরিসৃপ জাতীয় এক আজব ও ভয়ংকর প্রাণি। এদের ৪ টি পা ও একটি লম্বা লেজ আছে। এরা প্রায় ২ হাত লম্বা হয়ে থাকে। এদের সবচেয়ে ভয়ংকর অঙ্গ হলো জিহবা। জিহবা দ্বারা এরা ছোট্ট দুষ্টু চঞ্চল সোনামনিদের চোখ চাটতে ভালোবাসে। 'চোখচাটা' শিশুদের চোখ চাটার ফলে চোখের মারাক্তক ক্ষতি হতে পারে। কখনো কখনো চোখের দৃষ্টিহানিও ঘটতে পারে। সাধারনত সন্ধ্যার সময় ও ভোর রাত্রে আমাদের দেশে চোখচাটার উপদ্রব বেশি লক্ষ করা যায়। সন্ধ্যার সময় শিশুরা যখন না ঘুমিয়ে কান্নাকাটি করে তখন এবং ভোর রাত্রে শিশুরা বিছানা ছেড়ে যখন বাহিরে বের হওয়ার চেষ্টা করে ঠিক তখনই চোখচাটার আক্রমন বেশি লক্ষ করা যায়। চোখচাটাকে শিশুরা কখনো দেখতে পায়না। সাধারাণত বাবা-মারাই এদের বেশি দেখতে পায়। চোখচাটাকে বাবা-মারা যখন তাড়া করে তখন তারা অদৃশ্য হয়ে পালিয়ে যায়। চোখের মারাত্মক ক্ষতি রোধের জন্য সকল শিশুর উচিত সন্ধ্যার সময় কান্নাকাটি না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া, সূর্য উঠার পর ঘুম থেকে উঠা এবং বাবা মার কথা মেনে চলা। 
 
চোখচাটা

ছোটকাল থেকেই আমার ইচ্ছা ছিলো চোখচাটা নিয়ে গবেষণা করা। এই চোখচাটা নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়া অতটা সহজ ছিলো না। কেননা শহরে চোখচাটা দেখা যায় না বললেই চলে। তাই চোখচাটা নিয়ে কাজ করার জন্য আমাকে দীর্ঘদিন নিভৃত পল্লীতে বসবাস করতে হয়েছে। চোখচাটারা অত বোকা নয় যে তারা সব সময় বাবা মাকে দেখা দেবে। শীতকালে সন্ধ্যাবেলায় এবং ভোররাত্রে আমি গ্রাম বাংলায় চোখচাটার অস্তিত্ব বেশি খুঁজে পেয়েছি। আমি এ ও লক্ষ করে দেখেছি যে, গ্রাম বাংলার বাবা মারা চোখচাটার প্রাদুর্ভাবের ব্যাপারে সাধারাণত ছোট্ট শিশুদের দোষারোপ করে থাকেন; যা একেবারে ঠিক নয়। শীতকালে বাবা মারা যদি তার সন্তানকে সন্ধ্যার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শীতের পোশাক পরিয়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ায়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয় তবে চোখচাটারা আর সে বাড়িতে আসে না। আর শীতকালে ভোর বেলাতে শিশুরা যদি শীতের পোশাক পরে ঘরের বাহিরে বের হয় তবেও চোখচাটারা সে সকল শিশুদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।

No comments:

Post a Comment