Thursday, 22 September 2016

অবিবাহিত পুরুষদের জন্য কৃত্রিম সেক্সঃ বদনা থেরাপি

যৌবন প্রাপ্ত পুরুষ মাত্রই সেক্স করতে চায়। কিন্তু ঐ পুরুষ যদি অবিবাহিত হয়ে থাকে তাহলে কৃত্রিমভাবে সে ও সেক্স করার আনন্দ লাভ করতে পারে। এই কৃত্রিম সেক্স করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সেক্স ডলের সাথে সেক্স করা। কিন্তু বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সকল পুরুষেরই ঐ সেক্স ডল কেনার মতো সামর্থ থাকে না। আবার সেক্স ডল বাসায় রাখাও বেশ ঝামেলায় ব্যাপার। পাছে ভয় হয়, পরিবারের বড়রা যদি আপনার সেক্স ডল দেখে ফেলে অথবা জেনে যায় যে আপনি সেক্স ডল ব্যবহার করেন তাহলে তো সেটা দিব্যি প্রেসটিজের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

তাই আজ আমি অবিবাহিত পুরুষদের জন্য একটি নিরাপদ কৃত্রিম সেক্স করার কৌশল তুলে ধরছি। এই কৃত্রিম সেক্স করার কৌশলটি "বদনা থেরাপি" নামে পরিচিত। এই বদনা থেরাপিটি স্বার্থকভাবে করার জন্য নিম্নলিখিত জিনিসগুলো প্রয়োজন পড়বে।

১। একটি বড় সাইজের নতুন মজবুত বদনা
২। ১ টাকা দামের এক প্যাকেট শ্যাম্পু
৩। একটি ভালো মানের কনডম ও
৪। সামান্য বিশুদ্ধ পানি।

কার্যপদ্ধতিঃ
১। প্রথমে আপনার পেনিশটিকে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে শক্ত করে নিন।
২। কনডমটি আপনার পেনিশে ভালোভাবে পরিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন, কনডমের ভিতরে পেনিশের মাথায় যেনো বায়ু প্রবেশ না করে।
৩। বিশুদ্ধ পানি দিয়ে আপনার হাতের কবজি পর্যন্ত ভিজিয়ে নিন।
৪। হাতে সামান্য শ্যাম্পু নিয়ে প্রচুর ফেনা করুন।
৫। এক হাতের ৫ আঙ্গুল আরেক হাতের ৫ আঙ্গুলের মাঝে প্রবেশ করান।
৬। এই অবস্থায় ২ হাতের কবজিদ্বয় একত্র করুন।
৭। দেখুন দুই হাতের তালুর মাঝে ভেজিনা সদৃশ জায়গা তৈরি হয়ে গেছে।
৮। এমন অবস্থায় হাতদ্বয় বদনার মাঝে প্রবেশ প্রবেশ করান।
৯। হাতের কবজিদ্বয় বদনার মুখ পর্যন্ত রাখুন।
১০। দেখবেন হাতদ্বয় বদনার  মুখের সাথে ভালোভাবে এঁটে গেছে।
১১। এবার জোনির মত জায়গায় আপনার পেনিশ প্রবেশ করান এবং কাজ চালিয়ে যান।

আরো কিছু কথাঃ এ ধরণের কৃত্রিম সেক্স করার সময় কুসুম কুসুম গরম পানির ছোঁয়া যদি আপনার পেনিশে লাগাতে পারেন তাহলে কৃত্রিম সেক্স করা আরো সুখকর হয়ে উঠবে। শ্যাম্পুর পরিবর্তে চুলে লাগানো জেলি ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে।

সমস্যা/সীমাবদ্ধতাঃ আপনার শরীর যদি মোটা হয়ে থাকে তবে আপনার হাত, হাতের কবজি ও আঙ্গুল মোটা হওয়া স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় আপনার জোড়া হাত বদনার মাঝে প্রবেশ করতে না ও পারে। এক্ষেত্রে এই থেরাপী আপনার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। কেউ কেউ বলতে পারেন যে, অবিবাহিত ছেলেদের জন্য কনডম কেনা ও তা বাসায় রাখা ঝামেলার ব্যাপার। তাদের বলছি। আপনারা আপনার বাসা থেকে কিলো দশেক দূরে গিয়ে কনডম কিনুন। দেখবেন সেখানে আপনাকে কেউ চেনে না। ফলে সেখানে আপনার কনডম কিনতেও লজ্জা লাগবে না। এখন কথা হলো কনডম রাখবেন কোথায় এই তো? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন। এটা আপনার সুবিধাজনক জায়গায় রাখুন। যেখানে সচরাচর আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হাত যায় না। আপনি কনডম ছাড়াও সেক্স করতে পারেন। তবে সেখানে কিছুটা তৃপ্তির ঘাটতি হবে। আর কনডম ছাড়া শ্যাম্পু দিয়ে সেক্স করলে আপনার শরীরের সামান্য ক্ষতি হতে পারে। যেমন এলার্জি সমস্যা। ফলে আপনার শরীরে এলার্জি জনিত চুলকানি, হাঁচি ইত্যাদি হতে পারে। তবে তা খুব তীব্র নয়। এই সমস্যা হয় কি কারণে এটা এখন দেখা যাক। যখন পুরুষেরা সেক্স করে তখন পেনিশের ত্বক দ্বারা পেনিশের আশেপাশের তরল শোষিত হয়। যার ফলে ক্ষার জাতীয় পদার্থ (শ্যাম্পু) পেনিশের ত্বক দ্বারা শোষিত হয়। ফলে শারীরিক কিছুটা সমস্যা হতেই পারে। কারণ মানব শরীর কর্তৃক ক্ষার শোষণ ক্ষতিকর। আপনি কনডমের পরবর্তে পলিথিন ও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা ফেটে গিয়ে আপনাকে বিরক্ত করতে পারে। বিরক্ত হন আর যাই হন না কেনো তাই বলে কি সেক্স করা বন্ধ করা যাবে? কক্ষনো না। হা হা হা।

Thursday, 15 September 2016

স্মার্ট পুরুষ হতে হলে কি কি করা উচিত

আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো কিভাবে স্মার্ট পুরুষ হওয়া যায়। আপনি যদি স্মার্ট পুরুষ হতে চান তাহলে নিচের কাজগুলো যত্ন সহকারে করুন।

১। রুচিশীল পোশাক পরিধান করাঃ রুচিশীল পোশাক পরিধান করুন। আপনি যে পোশাক পরিধান করছেন তা আপনার পেশার সাথে মানানসই কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

২। কথাবার্তায় আর্ট থাকাঃ কথাবার্তায় একরকম আর্ট রাখুন। স্মার্টভাবে গুছিয়ে কথা বলুন। অতিরিক্ত কথা বলা পরিহার করুন।

৩। ভালো শ্রোতা হওয়াঃ অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন। এক কথায় ভালো শ্রোতা হউন।

৩। শিক্ষিত হওয়াঃ স্টুডেন্ট হলে ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যান। আপনি বাহ্যিক দিক থেকে যতই স্মার্ট হোন না কেনো আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘাটতি থাকলে আপনি শিক্ষিত মহলে মান পাবেন না। শিক্ষিতি না হওয়ার কারণে আপনি বিশেষ বিশেষ যায়গায় হাসির পাত্রও হয়ে যেতে পারেন। তাই পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করা অব্যাহত রাখুন।

৪। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাঃ হাদীসে বর্ণিত আছে,
الطهور شطر الايمان (رواه مسلم)
"পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।" যেহেতু পবিত্র থাকতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও থাকতে হয়। তাই আমি মনে করি, "পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও ঈমানের অঙ্গ।" তাই সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য ধারাবাহিকভাবে নিচের কাজগুলো করুন।

(ক) রুচিশীলভাবে নিয়মিত চুল ছেঁটে রাখাঃ আপনার পেশার সাথে সঙ্গতি রেখে নিয়িমিতিভাবে চুল ছেঁটে রাখুন। প্রতি মাসে ১ বার চুল ছাটলে কোনো রকমে চলে। তবে প্রতি ২০ দিনে ১ বার চুল ছাঁটা ভালো।

(খ) দাঁড়ি গোঁফ কাটা/ছাঁটাঃ স্মার্ট থাকতে হলে দাঁড়ি গোঁফ কেটে পরিষ্কার থাকতে হবে। কেউ যদি দাঁড়ি রাখতে চায় তবে তাকেও দাঁড়ি কেটে সাইজ করে রাখতে হবে। তাহলে তার মুখমন্ডল সৌন্দর্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় দেখাবে।

(গ) বগলের লোম পরিষ্কার রাখাঃ প্রতি ৩য় বার সেভ করার পর একবার বগলের লোম পরিষ্কার করা অবশ্যই উচিত বলে আমি মনে করি।

(ঘ) নাভীর নিচের লোম কাটাঃ ছেলেরা অবশ্যই নাভীর নিচের লোম ( বাল ) যথা সময়ের মধ্যে কাটবে। আমার জানা মতে প্রতি ৪০ দিনে ১ বার নাভীর নিচের লোম পরিষ্কার করা উচিত। সেই সাথে মলদ্বারের আশেপাশের লোম ও ভালোভাবে কেটে ফেলা উচিত। আমি এসব লোম কাটার চেয়ে চেঁচে ফেলা উত্তম বলে মনে করি। এসব লোম চাঁচার সময় সাবধানে রেজার চালাবে। তাড়াহুড়া করবে না। মলদ্বারের আশেপাশের লোম ভালোভাবে পরিষ্কার করলে ( চেঁচে ফেললে ) মল ত্যাগের পর মলদ্বার খুব তাড়াতাড়ি পারফেক্টভাবে পরিষ্কার করা যায়। মলদ্বারের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে কিছু চর্ম রোগ ( খোস পাঁচড়া, দাঁদ ইত্যাদি ) থেকে বাঁচা যায়।

পেনিশের আশেপাশের লোম পরিষ্কার করার সময় অবিবাহিত ছেলেদের পেনিশ সাধারণত খাড়া হয়ে যায়। তখন রেজার ব্যবহার করে লোম চাঁচা বেশ কষ্টকর হয় । তাই এই সমস্যা দূর করার জন্য অবিবাহিত ছেলেরা শুখকর কৃত্রিম সেক্স ( যে হস্তমৈথুনে সাধারণত শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না ) করে নিতে পারে। এতে বীর্য স্খলন হবে এবং পেনিশ নেতিয়ে পড়বে। ফলে পেনিশের আশে পাশের লোম চাঁচা কষ্টদায়ক হবে না।

বুকের লোম খুবই বড় হয়ে গেলে তা যদি অস্বস্থির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে বুকের লোম কেটে ছোট করে রাখা যেতে পারে। এতে বুক খুব সুদর্শন হয়ে উঠবে। স্ত্রীর কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠার জন্য বুকের অতিরিক্ত লম্বা লোম ছেঁটে ফেলা গোছের বাড়াবাড়ি কিছু নয়।

(ঙ) নখ ছোট রাখাঃ প্রতি সপ্তাহে ১ দিন অবশ্যই নখ কাটবে। বৃহস্পতিবার নখ কাটা সুন্নত। তাই নখ কাটার জন্য এই দিনটিকে বেছে নিতে পারো।

(চ) নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করাঃ প্রতিদিন ২ বার ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করবে। সকালে খাওয়ার পর এবং রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা আমার কাছে উত্তম বলে মনে হয়। অনেকে মনে করে সকালে খাওয়ার আগে এবং রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত। আপনারও যদি তাই মনে হয় তাহলে আপনি ও তাই করতে পারেন।

৫। মেয়েদের সাথে অতিরিক্ত মেলামেশা না করাঃ আমি অবিবাহিত ছেলেদের বলছি, তোমরা মেয়েদের সাথে অতিরিক্ত মেলামেশা করবে না। এতে তোমাদের ওয়েট বাড়বে না বরং তোমাদের ওয়েট কমবে। মেয়েরা নিজেরাও মেয়ে ঘেষা ছেলে বেশি পছন্দ করে না। তারা মেয়ে ঘেষা ছেলেদের জীবন সাথীও করতে চায় না। চাকরের মত ব্যবহার করতে চায়। তাই সাবধান। মেয়েদের সাথে অতিরিক্ত মেলামেশা করবে না।

৬। নিজের বেডরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাঃ অবিবাহত হলে নিজের বেডরুম নিজেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখবে। নিজের পোশাক পরিচ্ছেদ ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিজেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে।

ব্যথা দিতে না পারলে সেক্স করা সম্পন্ন হয় না

হাঁ, আমি আজ আবার আপনাদের মাঝে সেক্স বিষয়ক একটি চরম সত্য কথা বলতে এসেছি। আর কথাটা হলো- "ব্যথা দিতে না পারলে সেক্স করা সম্পন্ন হয় না।"

আপনি আপনার মনের মানুষের সাথে সেক্স করছেন। সেক্স করার সময় আপনি যদি আপনার স্ত্রীর মুখ থেকে "আহ আহ", "আর পারছি না", "ইস লাগছে", "আহ মরে গেলাম", "ও বাপরে", "ও মারে", " নামো", "ওহ মরে গেলাম", " হারামজাদাক সেন্ডেল দি কুবা কাইটি ফেলবো", "ফাইটি গেলো রে" ইত্যাদি কথা যদি শুনতে না পান তাহলে মনে করবেন আপনি আপনার স্ত্রীকে সেক্স সুখ ঠিকমত দিতে পারেননি।

তাহলে সেক্স করার ব্যাপারে আপনাকে এমন খেলোয়াড় হতে হবে যে, আপনি আপনার স্ত্রীর মুখ থেকে ঐ সব কথা অবশ্যই শুনবেন/বের করে নিবেন। না পারলে মনে করবেন আপনি ভালো খেলোয়াড় না। আপনি গোল করেন ঠিকই কিন্তু আপনার গোল করা দেখে দর্শকরা হাত তালি দেয় না।

সেক্স করার সময় মেয়েটি ব্যাথা পাচ্ছে

খেলার মাঠে আপনার দল যদি বিপক্ষ দলকে হড়াহড় গোল দিয়ে যায় তবে সে খেলা খেলেও মজা পাওয়া যায় না; দেখেও মজা পাওয়া যায় না। আর খেলার মাঝে যদি হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হয়, জয়টা যদি কষ্টে আসে তাহলে সে খেলা খেলেও মজা পাওয়া যায়; দেখেও মজা পাওয়া যায়।

তাহলে আজ থেকে আপনারা সেক্স করার সময়  আপনার স্ত্রীকে ব্যথা দেওয়ার চেষ্টা করে যান।

বলায় কোনো কিছু ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন। আজকের মত আসি। বাই।

Wednesday, 14 September 2016

জ্বীন পরী কি আসলেই আছে

আমি একদিন বাড়ির সামনে বসে আছি। হঠাৎ আনু ( আনোয়ার ) ভাই কোথা থেকে যেনো আসলো। এসে আমাকে বললো, "আমি কয়েকদিন যাবৎ একটা বিষয় নিয়ে ভাবছি। আর সেটা হলো, অনেক মানুষ যে বলে এই পৃথিবীতে ইনসান ( মানুষ ) ছাড়াও জ্বীন জাতি (জ্বীন ও পরী ) বসবাস করে। এই জ্বীন ও পরীদের আমরা কখনো দেখতে পায় না। কিন্তু তারা আমাদের দেখতে পায়। তারা কখনো কখনো আমাদের ক্ষতি সাধন করে থাকে। এটা আমাদের সমাজে মাঝে মাঝে দেখতে পাই। মাঝে মাঝে শুনে থাকবি, অমুক মেয়েটাকে জ্বীনে ধরেছে, অমুক ছেলেটাকে পরীতে ধরেছে। এখন আমার কথা হলো জ্বীন ও পরীদের যদি আমরা দেখতে না পাই, আর তারা যদি আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেই থাকে তবে তো পৃথিবীতে মানুষের বাস করাই দায় হতো। জ্বীন-পরীরা যদি সবাই মিলে আমাদের চড়াতে থাকতো তাহলে আমাদের চড় খেতে খেতে জীবন যেতো। তারা যদি মনে করতো, তারা আমাদের মেরে ফেলবে, তাহলে আমরা রাস্তাঘাটে মরে পড়ে থাকতাম। কেননা, তারা যদি আমাদের আক্রমণ করে, আমরা শুধু মার খেতেই থাকবো এবং এক সময় মরে যাবো। তাদের তো আমরা দেখতো পাবো না। তাই আমরা পাল্টা আক্রমন ও করতে পারবো না। প্রতিশোধ ও নিতে পারবো না।"

আমি বললাম, "আনু ভাই তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?"

আনু ভাই বললো, আসলে জ্বীন-পরী বলে কিছুই নাই। এই যে আমরা বলি, অমুক মেয়েটাকে জ্বীনে ধরেছে, অমুক ছেলেটাকে পরীতে ধরেছে। এই ছেলে- মেয়েগুলো যে বয়সেরই হয়ে থাকুক না কেনো দেখবি তারা নিরক্ষর এবং গরীব। আসলে তাদের জ্বীন বা পরীতে ধরেনি। আসলে তারা রোগে ভুগছে। কেটে যাচ্ছে জ্বীন-পরীর নামে। আচ্ছা এমন কথা কখনো শুনেছিস যে অমুক ডিগ্রী পাস মেয়েটাকে জ্বীনে ধরেছে, অমুক মাস্টার্স পাস ছেলেটাকে পরীতে ধরেছে? শুনিসনি এই তো। কোনোদিন শুনবিও না। এসব হলো ভাওতা বাজি। আসলে জ্বীন পরী বলে কিছুই নাই।" 

আমি বললাম, "কোরআন শরীফে তো জ্বীন-পরীদের ( জ্বীন জাতি )অস্তিত্ত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে।"

আনু ভাই আর কোনো যুক্তি প্রদর্শন করতে পারলো না। আমি সেই ফাঁকে বাড়ির ভেতরে কাজ আছে এমন অজুহাত দেখিয়ে কেটে পড়লাম।

Tuesday, 13 September 2016

প্রেমিকাকে পার্মানেন্ট জীবন সাথী করার টিপস

আজ আমি আপনাদের মাঝে একটা থিম তুলে ধরবো। যেটা ভাবা খারাপ, শোনা খারাপ এবং করা খারাপ। কিন্তু অনেকেই করে চলেছে। প্রেমিকাকে পার্মানেন্ট জীবন সাথী হিসেবে পাওয়ার জন্য।

তুমি যেই মেয়েটার সাথে প্রেম করছো, সেই মেয়েটাকে কি তুমি জীবন সাথী হিসেবে পেতে চাও? প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছ, মার্কেটে যাচ্ছ, ডেটিং করছ আর বিয়ে করার কথা ভাবতে পারছ না? কেনো ভাবতে পারছ না? ও তোমার জাস্ট বান্ধবী। তাই তো? আসলে বান্ধবীর সাথে কি এতই সময় দেওয়া লাগে? প্রশ্ন করে গেলাম তোমাকে। তোমার বন্ধুরা সবাই সমালোচনা করে তুমি নাকি তার সাথে প্রেমিক হিসেবে প্রেম করো। আর তুমি বলছ জাস্ট বান্ধবী। হা হা হা ; তোমার প্রসংশা না করলেই নয়। কয়েকদিন পর মেয়েটির অন্য যায়গায় বিয়ে হয়ে গেলে তুমি একা একা নীরবে নিভৃতে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদ? তোমার মনের ভেতরের আরেকটা তুমি তোমাকে ধিক্কার দেয়। বলে তুই আসলেই তাকে ভালোবাসতিক। কিন্তু বিয়ে করলিনে ক্যান? তুমি হয়ত বলবে, আমি তাকে সাহস করে কিছুই বলতে পারিনি। ও ওতো তোমাকে ঘর বাঁধার বিষয়ে কিছু বলত না। হা হা হা পুরুষ জাতি। তোমার সাহস নেই ভালোবাসার কথা বলার, তোমার সাহস নেই ঘর বাঁধার ব্যাপারে প্রস্তাব করার। আর তুমি আজ নিজেকে একজন সু-পুরুষ হিসেবে ভাবো। ধিক্কার তোমায়। তুমি আসলে পুরুষ নও, একজন কাপুরুষ।

মনে পড়ে তোমার, তুমি একাকী ছিলে। ও তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো, আর তুমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলে লজ্জার মাথাখেয়ে। সেদিন তোমাকে সে 'আই লাভ ইউ বলেনি', 'ঘর বাঁধার বিষয়ে কিছু বলেনি' কিন্তু তোমাকে জড়িয়ে ধরা দ্বারা সে বোঝাতে চেয়েছিলো যে সে তার সব সব কিছু তোমাকে দিতে প্রস্তত। বিশ্বাস হচ্ছে না? না হলে আমার করার কিছুই নেই। তাহলে এখন তুমি কাঁদ, ডাইলের বোতল ( ফেন্সিডিল ) হাতে তুলে নাও, পচা তামাকের সিগারেটগুলো চুষতে থাকো, বিরহের গানের এলবাম সংগ্রহ করে বিশ্ব রেকর্ড করো, হাত কেটে নাম লেখো আবেদা প্লাস অমুক ( হাবলু )।

এখন প্রশ্ন হলো কি করা যেতো? কি করা উচিত ছিলো?

তার আগে আর একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করি। প্রশ্নটা হলো, হাবলু ( ছেলেটার কাল্পনিক নাম ) যদি মেয়েটাকে আই লাভ ইউ বলতো, সংসার করার/ঘর বাঁধার বিষয়ে আগ্রহ দেখাতো তাহলে কি সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো? উত্তরঃ না, কখনই সব সমাধান হয়ে যেতো না। আবেদা ( মেয়েটির ছদ্দ নাম ) তখন হাবলুকে হাতে রেখে হাবলুর চেয়ে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন প্রেমিক খুঁজে বেড়াত। আসলে মেয়েরা হলো বহুরূপী।
 
কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে চায়,
নারী কভু নাহি চায় একা হতে কারো,
এরা দেবী, এরা লোভী, যত পূজা পায়
এরা চায় তত আরো।
ইহাদের অতি লোভী মন,
একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখিনয়, 

যাচে বহুজন। 

এবার আগের প্রশ্নে আসি।  কি করা যেতো? কি করা উচিত ছিলো? 

হাঁ যেদিন আবেদা হাবলুর অতি কাছে এসেছিলো সেদিন তার উচিত ছিলো তার সাথে সেক্স করা, তার সম্ভ্রম লুটে নেওয়া। আর যদি হাবলু যদি এই কাজটি করতে পারত তাহলে তার প্রেমিকা পার্মানেন্ট হয়ে যেতো। অন্য কোথাও আর যাওয়ার চেষ্টা করতো না। তখন হাবলু না আবেদাই হাবলুর পেছনে ঘুর ঘুর করতো। বার বার ঘর বাঁধার কথা বলতো। অনুনয় বিনয় করতো।

আর এর পরেও যদি আবেদা হাবলুকে ছেড়ে অন্য কোথাও বিয়ে করতো তাহলে হাবলু আর নীরবে, নিভৃতে কাঁদতো না। মনে মনে বলতো; যা শালী, একবার তো তুই আমার কাছে গুদ মারা দিছিস। ( খারাপ ভাষা ব্যবহার করে ফেললাম, পাঠক ভাইয়েরা আমাকে ক্ষমা করবেন )

হা এটাই হলো শ্রেষ্ঠ টিপস। জীবন সাথী করার ইচ্ছা থাকলে তার সাথে প্রেম করার ফাঁকে ফাঁকে সেক্স করার সুযোগ পেলে সেক্সও করতে হবে। তাহলে সে তোমার পার্মানেন্ট প্রেমিকা হবে। আর কারো হওয়ার চেষ্টা করবে না। এই টিপস ৯৯% কার্যকর।

সেক্স বিষয়ে মেয়েদেরকে যা মেনে নিতেই হবে

আমি একদিন এক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ এক দেওয়ালে দেখলাম কয়লা দিয়ে লেখা- 'টাইট গুদ চুদতে মজা।' মনে হলো কোনো দুষ্টু লোক এই বাজে বাক্যটি লিখেছেন। আমিও যে এমন একটি বাজে বাক্য লিখছি, তাতে আমার ও খুব খারাপ লাগছে। কিন্তু সত্য উৎঘাটনে এমন বাক্য তুলে ধরা আমার কাছে দোষের কিছু বলে মনে হচ্ছে না।

যখন একজন পুরুষ লোক একজন মেয়ে লোকের সাথে সেক্স করে, তখন ভেজিনার ভেতরে পেনিশ দিয়ে যেভাবে টর্চার চালানো হয়, তাতে ঐ ভেজিনা যে অল্প সময়ের মধ্যে লুজ হয়ে যায় তা প্রত্যেক মেয়ে লোককে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। স্বীকার না করলে আমার করার কিছুই নাই। আমার কাছে যা মনে হয় তাই বললাম। আপনাদের কাছে কেমন মনে হয় তা আমি অনুমান করতে পারি; এর বেশি কিছু নয়। লুজ হয়ে যাবেই বা না কেনো? প্রতি মাসে যদি প্রায় ১৫ বার আধা ঘন্টা করে লৌহদন্ড স্বরুপ পেনিশ দিয়ে ভেজিনার মধ্যে তান্ডব চালানো হয় তাতে লুজ হওয়া সাধারণ ব্যাপার। এক দিনে সেক্স করার পর মেয়েদের ভেজিনা যে পরিমাণ লুজ হয় তা ২/৩ দিনের মধ্যে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব। আর তাই কয়েক বছর পর ভেজিনা যে অবস্থায় পৌছায় তাতে পুরুষ মানুষ সেক্স করে মোটেই আর তৃপ্তি পায় না। 'তখন পুরুষ মানুষের সেক্স করা আর কাদা ঘাটা সমান বলে মনে হয়।'

একটা পুরুষ মানুষকে একজন মেয়েলোক সংসারে কি কি কাজ করে দেয় তা একবার খেয়াল করার চেষ্টা করি। রান্নাবান্না করে, খাবার পরিবেশণ করে, ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে, কাপড় চোপড় পরিষ্কার করে, সন্তান লালন পালন করে, চাকুরি করে অর্থ উপার্জন করে এনে দেয়, স্বামীর সেবাযত্ন করে, শ্বশুর-শ্বাশুরীর খেদমত করে ইত্যাদি। আর একটা কাজ করে। সেটা হলো স্বামীকে সেক্স তৃপ্তি দেয়। কাজের শতকরা হিসাব করতে গেলে স্বামীকে সেক্স তৃপ্তি দেওয়া এই কাজটি অত্যন্ত নগন্য। আচ্ছা নগন্য মেনে নিলাম। কিন্তু গুরুত্বের কথা ভেবে দেখেছেন কখনো? ভেবে না দেখলে আরেকবার ভেবে দেখুন। গুরুত্বের দিক থেকে এটি ৯৯.৯৯% গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সংসার জীবনে একজন মেয়েলোক যদি তার স্বামীকে বলে যে সে সকল কাজ করে দেবে কিন্তু সেক্স করতে দেবে না। দেখবেন ঐ মেয়েলোকের স্বামী বলবে, তোর মত স্ত্রী আমার দরকার নাই। কি হতবাক হচ্ছেন? হতবাক হওয়ার কিছুই নাই। এটাই স্বাভাবিক। তাহলে এটা প্রমানিত যে, পুরুষেরা সেক্স করায় মত তৃপ্তিকর কাজ ১০০% করতে চায়। আর করতে চাইবেই বা না কেনো, কুসুম কুসুম গরম আঠালো তরলে ভরা টাইট জোনিতে পুরুষাঙ্গ ঢোকানো ও বের করায় যে কি তৃপ্তি আছে তা মেয়েদের সাথে সেক্স করা পুরুষ ছাড়া আর কেইবা জানে!  

টাইট জোনিতে পুরুষাঙ্গ ঢোকানো হচ্ছে
  আর এই কাজটায় ব্যবহার হয় মেয়েদের ভেজিনা। আর সেই ভেজিনা যদি হয় লুজ তাহলে পুরুষেরা সেক্স করে তৃপ্তি পায় না। লাগে অসস্থি। তারপর ভাবে, বিয়ের সময় ছিলো কেমন এখন লাগছে কেমন। তাইতো খারাপ লাগছে। ইস ঐ রকম টাইট ভেজিনাতে যদি আরেকবার পেনিশ ঢুকিয়ে সেক্স করতে পারতাম! তাহলে কি মজাই না পেতাম!

হা এবার যায়গায় আসি। এই তৃপ্তি পাবার জন্য ধনী লোকেরা প্রায়ই টাকার বিনিময়ে কচি কচি মেয়েলোকের সাথে সেক্স করে। গরীব লোকেরা তা পারে না। কেউ কেউ আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে বসে। এই বিষয়ের সমাধান কি হতে পারে তা আমার কাছে ঘোর অন্ধকারের মত মনে হয়। আমার এই মুহূর্তে এক বন্ধুর কথা মনে পড়ছে। যে হাস্যকরভাবে বলেছিলো, 'একজন পুরুষের ২ টা বউ দিয়ে মোটামুটি চলে; ৩ টা বউ পারফেক্ট।' আর সময় সময় মনে হয়, যে বেয়াদব লোকই ঐ কথাটা ( টাইট গুদ চুদতে মজা ) লিখে থাকুক না কেনো তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ আমাদের এই সংসার জীবনে।    

Monday, 12 September 2016

বর্তমান সময়ে খাবারের স্বাদ কমে গেছে

আমার বাড়ির পশ্চিম পাশের বাড়িটা আনু ( আনোয়ার ) ভাইয়ের। আনু ভাই চমৎকার চমৎকার গল্প বলতে পারেন। ছোট কালে তার অনেক গল্প আমরা হা করে শুনেছি। আর অনেক অনেক মজা পেয়েছি। তার কিছু কিছু গল্প ছিলো অনেক যুক্তিপূর্ণ। আজ তার বলা গল্প থেকে আমি আপনাদের একটি গল্প শুনাচ্ছি। ও আর একটা কথা, আর সেটা হলো আজ আমি যেটা বলব সেটা গল্প না বলে অন্য নামকরণও  করা যায়। কি নামকরণ করা যাই তা এই মুহুর্তে মাথায় আসছে না। যাক যা বলতেছিলাম তাই বলি।

স্কুল থেকে বাসায় ফিরছি। এমন সময় আনু ভাই আমাকে ডাক দিলো। বললো, 'লেখাপড়াতো ভালোই চলছে, তাই না?' আমি বললাম, 'জ্বি।' ভাই বললো, 'আচ্ছা একটা বিষয় জানিস, বর্তমানে সব খাবারেরই নাকি স্বাদ কম; আগেকার দিনে সব খাবারের স্বাদই নাকি ছিলো বেশ চমৎকার?' আমি জবাব দিলাম, 'তা হতেই পারে। কারণ, আজকাল জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার, কিটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। পরিমান মতো জৈব সার জমিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া জমিকে মোটেই রেস্ট দেওয়া হচ্ছে না। একের পর এক ফসল করা হচ্ছেই। যার কারণে খাদ্যের গুণগতমান কমে যেতেই পারে।' আনু ভাই আমার উপর বেজাই রেগে গেলো। বললো, 'খাবারে স্বাদ নাই, কে বলেছেরে তোকে? আগেকার দিনে মানুষ পেট ভরে খেতে পেতো না। তাই যখন যা খেতো মুখে তাই স্বাদ লাগতো। আর এখন তোর মুখে স্বাদ লাগছে না কেনো জানিস? ঐ যে সকালে মাংশ, দুপুরে মাছ, রাতে আবার দুধ-ডিম, খেতেই আছিস খেতেই আছিস। তাহলে কি খাবারের স্বাদ বেশি লাগবে? লাগবে না। মাসে ২ দিন বা ১ দিন মাছ অথবা মাংশ খা। তাও ২ অথবা ১ পিস। দেখবি খুবই স্বাদ লাগবে।'

আমি আর তর্কে জড়ালাম না। 'হু' বলে বাড়িতে ঢুকে পড়লাম।

Sunday, 11 September 2016

লিডার হতে হলে

আমার এক পরিচিত লোকের সাথে হঠাৎ করে এক যায়গায় দীর্ঘ সময় গল্প করার সুযোগ এসেছিলো। সে বয়সে আমার চেয়ে প্রায় ৫ বছরের ছোট হবে। গ্রাজুয়েট। ভালো বক্তব্য দিতে পারে। পলিট্রিক্স করে। আমায় সে যথেষ্ট সম্মানও করে। তার সাথে দেখা হলে আমি বলি, কি লিডার কেমন আছ?

যাক সেসব কথা।এখন বলি আসল কথা। তার সাথে আমার গল্প হচ্ছিলো। আমি এক সময় বললাম, 'তোমার লিডার হওয়ার খবর কি? কতদূর এগুলে?' ও বললো, 'ভালো না ভাই। আমি যে লিডারের পাশে ঘুরি সে আমাকে পাত্তা দিতে চায় না। লিডারের এমনিতে তো বিশেষ কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। তার পর সে চলে অশিক্ষিত লোক নিয়ে। আমাকে সে মূল্যায়নই করতে চায় না। তার কাছে যেনো অশিক্ষিত লোকগুলোই আমার চেয়ে মুল্যবান।' আমি বললাম, 'তার কাছে ঐ সব অশিক্ষিত লোকেগুলো সিনিওর না তুমি সিনিওর।' ও জবাব দিলো, 'আমার চেয়ে ওরাই সিনিওর।' আমি বললাম, তাহলে তো ঠিকই আছে। তারা তোমার চেয়ে সিনিওর। তাহলে তো তারা তোমার চেয়ে এগিয়ে থাকবেই। তোমার লিডার তো তাদের বেশি মুল্যায়ন করবেই। এদিক থেকে তোমার লিডার বেশ বুদ্ধিমান।'

আমি তার চোখ  মুখ দেখে বুঝতে পারলাম সে আমার উপর বিরক্ত হচ্ছে। কিন্তু সে তা আমাকে ধরা দিতে চাচ্ছে না। সে বললো, ' তাই বলে আমি এত পিছিয়ে থাকব কেনো? আমাকে লিডার কোথাও কোনো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিতে চায় না। আমাকে ডেকে নিয়ে কোথাও মুভ করতে  চায় না। আমাকে যেনো তার কোনো প্রয়োজনই হবে না, এমন আচরণ করে। আমি মনে করি, আমার পলিট্রিক্স করার যথেষ্ট যোগ্যতা আছে। আমি আমার লিডারের হাত ধরেই এগুতে চাই। কিন্তু এভাবে চললে তো আমি ১০০ বছরেও লিডার হতে পারবো না। কি করা যায় বলেন তো ভাই।'

চায়ের কাপে লম্বা একটা চুমুক দিয়ে আমি যেনো হেসেই ফেললাম। তারপর হাসি থামালাম। বললাম, 'তুমি তো বেশ কয়েক বছর তার পেছনে ঘুরছো, তাই না? তাহলে তো তুমি তাকে চেনই। কিন্তু যার হাত ধরে তুমি লিডার হতে চাচ্ছ তাকে আমিও ভালোভাবেই চিনি। তাই আমি যে পথে তোমাকে চলতে বলি তুমি সেই পথে চল। দেখবে বছর খানেকের মধ্যেই সে তোমাকে ধরা দিবে। তোমাকে ছাড়া সে কোথাও মুভ করতে চাইবে না। তোমাকে সে বড় বড় লিডারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। তোমাকে বক্তব্য দেওয়ার এত পরিমাণ সে সুযোগ করে দিবে যে তুমি বক্তব্য দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে যাবে। তোমার সিনিয়র সাঙ্গু পাঙ্গুরা তোমার পারফরমেন্স দেখে চোখ টাটাবে। তোমার লিডার এতদিন যার বাইকের পেছনে চড়ে বিভিন্নও যায়গায় মুভ করতো, সে তোমার বাইকের পেছনে চড়তে চাইবে। তোমার বিপদের দিনে সে ছুটে আসবে। তোমার পাশে দাঁড়াবে। তোমার বাবা মাকে সে যথেষ্ট সম্মান করবে। তখন দেখবে তোমার বন্ধু মহলেও তুমি যথেষ্ট সম্মানিত হচ্ছ। কি এমন হলে ভাল হয়, তাই না?

'হা ভালো হয়।' সে জবাব দিল। তার পর বললো, 'এখন বলেন কি করলে সে আমাকে ধরা দিবে।' আমি তাকে ঐ লিডারের দূর্বলতাগুলো বলেছিলাম। বলেছিলাম, 'তোমার লিডারের নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বাহিরের মহিলাদের সাথে সেক্স করে। মাঝে মাঝে বাহির থেকে মহিলা ভাড়া করে এনে সেক্স করে। তারপর সেই এঁটো খাবার সাঙ্গুপাঙ্গুরা ভোগ করে। মাঝে মাঝে তার সাঙ্গুপাঙ্গুরা তাকে ভালো ভালো মালের সন্ধান দেয়। ভাড়ার বিষয়ে দামদর করে। লিডারকে খাওয়ায়। তাই তোমার লিডারের কাছে ঐ সব সাঙ্গুপাঙ্গুরা বেশি মুল্যায়িত হয়। আমার মনে হয়, তুমি এইসব বিষয় কম বেশি জানো; কিন্তু এই সবের মাঝে তুমি সঙ্গ দাও না। তুমি যদি এইসবকে জয় করতে পারো তবে তোমার লিডার তোমাকে অবশ্যই মুল্যায়ন করবে। দেখবে তোমার লিডার হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না।'

বছর খানেক পরঃ

ঐ লোকের সাথে আবার আমার দেখা হলো। সে জানালো, 'ভাই আমি পেরেছি। আমি পেরেছি। আমি আপনার পরামর্শ পেয়ে সেই মোতাবেক কাজ করে লিডারের মন জয় করে ফেলেছি। আমি এখন আর হেজিটেশনে ভোগি না। আমি এখন লিডার হতে চলেছি। আসলেই গুরু আপনার পরামর্শ আগে পেলে আমি অনেক আগেই লিডার হয়ে যেতাম।' সব কথা শোনার পর আমি মনে মনে বললাম, 'তুমি তোমার চরিত্র হারিয়েছ; তাই তুমি তোমার সব কিছুই হারিয়েছ। তুমি অন্যদের কাছে লিডার ঠিকই, কিন্তু আমার কাছে তুমি একজন চরিত্রহীন। Money loss nothing loss, time loss something loss, but character loss everything loss.'

বাসায় যেতে যেতে নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হলো। মনে হলো, আমার পরামর্শে সে চরিত্রহীন লিডার হয়ে গেলো। আমার পরামর্শটা ঠিক ছিলো না। পাপের ভাগী যে আমিও হয়ে গেলাম। আমিও যে পাপী হয়ে গেলাম।

মামা স্মার্ট না, সেকেলে !

যা বেতন হিসেবে পাই তা দিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাই। সঞ্চয় করা আর সম্ভব হয় না। সঞ্চয় করা না হোক আল্লাহ তায়ালা যে দিব্যি আমাদের চালিয়ে নিচ্ছেন তাতেই আমি মহা খুশি। আমার প্রতি মাসের বেতনের একটা অংশ ব্যয় হয় ভাগিনীর শিক্ষার পেছনে। ভাগিনীকে আমি ঐ টাকা দিই কর্তব্য জ্ঞান করে। কারণ তার বাবা মারা গেছে। আমি যদি ঐ টাকাটা দিই তাহলে ও হয়তো ভালোভাবে তার পড়াটা চালিয়ে যেতে পারবে। টাকা দিতে যে আমার কষ্ট হয় তা আমার ভাগিনী কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারে বলে আমার মনে হয়। যাক ঐ টাকার বিনিময়ে আমি তার থেকে কিছুই পাওয়ার আশা করি না।

সেদিন আমার ভাগিনী আমাদের বাসায় বেড়াতে এসে একজনকে বলছে, মামা স্মার্ট না, সেকেলে! ভালো পোশাক পরে না। গেয়ো মানুষের মতো চলাফেরা করে। চাকচিক্য হয়ে চলে না।

কথাটা আমার কানে আসার পর হার্টে একটু ব্যাথা অনুভব করলাম। মনে মনে ভাবলাম, খালামনি ( ভাগিনী ) আমি প্রতি মাসে অতি কষ্টে তোমার লেখাপড়ার খরচ বাবদ যা দিই, তা দিয়ে যদি স্মার্ট হওয়ার চেস্টা করতাম তাহলে সেই স্মার্টটা তোমার চিন্তা চেতনাকেও ছাড়িয়ে যেতো। তাহলে তাই করি, তোমাকে লেখাপড়ার খরচ না দিয়ে সেই টাকা দিয়ে স্মার্ট হয়ে যাই।

মনের কথা মনেই থাকলো। বলতে পারলাম না। বলব কি করে, আমিতো আমার পরিচিতিতেই বলেছি আমি একটা ভীতু মানুষ! সিম্পল ম্যান এক্স!


Saturday, 10 September 2016

কবিতা ও ছড়া

জীবন নদীর বাঁকে
  সিম্পল ম্যান এক্স
  জীবন নদীর বাঁকে 
কত অতিথি পাখি 
উড়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে।
কেউবা ফিরে যায় 
কেউবা ধরা খায় 
নির্মম শিকারীর হাতে।
ছড়াঃ 
ড্যাঙ ড্যাঙা ড্যাঙ ড্যাঙ
সিম্পল ম্যান এক্স

ড্যাঙ ড্যাঙা ড্যাঙ ড্যাঙ
ব্যাঙের ল্যাঙে চড়ুই পাখির 
ভাঙল একটা ঠ্যাঙ।
তাই নিয়ে রাঙা মাঠে 
বসেছে মিটিঙ
চলো যাই 
টিঙ টিঙা টিঙ টিঙ।

ময়না বুবুর বিয়ে
সিম্পল ম্যান এক্স

পুব দিকের ওই বকুল বনে 
ময়না বুবুর বিয়ে 
লাল টুক টুক শাড়ি পরে 
টোপর মাথায় দিয়ে
দেখতে যাবে টিয়ে।
বুলবুলি আর বউ কথা কউ
বরের সাথে গিয়ে
ঘিয়ে ভাজা লুচি খাবে 
রসগোল্লা  দিয়ে। 



বিলেই থেকে রাজ
 সিম্পল ম্যান এক্স

 আমি একটা আস্ত বোকা 
বিলেই আমার নাম,
কাজের কথা শুনলে আমার
কপালে ঝরে ঝাম।

খাবার কথা শুনলে আমি
এক লাফে যায় ছুটে,
আগে আগেই খেয়ে ফেলি
যত মন্ডা মিঠে।  

বাবা আমায় বলল সেদিন 
যদি কর কাজ,
বিলেই নাম পালটে তোমার 
নাম রাখবো রাজ।   
 



Monday, 5 September 2016

স্বামীকে দীর্ঘজীবি করতে স্ত্রীকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে

আমাদের গ্রামে আমি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখেছি যে, এখানে অনেক বিধবা মহিলা আছে। যার তুলনায় বিপত্নীক পুরুষ লোক অত্যন্ত নগন্য। আবার এ ও লক্ষ্য করেছি যে, বিধবা মহিলারা বিধবা হওয়ার পর আর কোনো বিয়ে করছে না। অবশ্য কিছু কম বয়সী শিক্ষিত ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী বিধবা মহিলা বিধবা হওয়ার পর ও দ্বিতীয় বিয়ে করছে; যেটা আমাদের সমাজে খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু পুরুষ লোক বিপত্নীক হওয়ার পর পরই আবার বিয়ে করছে। নতুনভাবে সংসার করছে। কিছু কিছু পুরুষ লোকও আছে যারা বিপত্নীক হওয়ার পরও বিয়ে করে না; এটাও আমাদের সমাজে খুব কমই দেখা যায়। যাই হোক আমি বলতে চাচ্ছি, আমাদের দেশে পুরুষ লোকের চেয়ে মহিলারাই বেশি দিন বাঁচে। আমি এর কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছি। এই বিষয়টা নিয়ে আমি আমার আম্মাজানের সাথে ও কথা বলেছি। আমার কথার সাথে আম্মাজান একমত পোষণ করেছেন। তিনি এ ও বলেছেন যে, বিয়ের সময় ছেলের বয়স মেয়ের বয়েসের চেয়ে সাধারণত বেশি থাকে; এর জন্যই যে বিধবা মহিলার সংখ্যা বেশি তা কিন্তু নয়। এর প্রধান কারণ হলো, পুরুষেরা মেয়েদের চেয়ে কঠিন পরিশ্রম বেশি করে। যার কারণে তাদের শরীরের ক্ষয় ও হয় বেশি। তাই তারা মহিলাদের তুলনায় আগেই মৃত্যু বরণ করে। যার কারণে, বিপত্নীক পুরুষের তুলানায় বিধবা মহিলাদেরই আমরা আমাদের সমাজে বেশি দেখতে পাই। আপনি আমার সাথে একমত না ও হতে পারেন। একমত না হলে আমার করার কিছু নাই। কারণ, আমি যা বলছি এটাই বাস্তব।

একটি সংসারে যখন উপার্জনক্ষম পুরুষ লোকটি মারা যাচ্ছে তখন কে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে? মৃত পুরুষ লোকটি না বিধবা মহিলাটি? নিঃসন্দেহে বিধবা মহিলাটি। কারণ, যে পুরুষ লোকটি মারা গেলো সে তো মরেই বেঁচে গেলো। আর যে মহিলাটি বেঁচে থাকলো সে মরার মত বেঁচে রইলো। তাকে এখন ভাবতে হবে অন্নের কথা, বস্ত্রের কথা, বাসস্থানের কথা, সামাজিক নিরাপত্তার কথা ইত্যাদি। এক কথায়, তার আর্থিক অবস্থা ভালো না হলে তাকে সমাজে ঠোকর খেয়ে খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে।

পক্ষান্তরে, উপার্জনক্ষম পুরুষ লোকটি বেঁচে থাকলে তার স্ত্রীকে অত কঠিন পরীক্ষার সম্মূখীন হতে হয় না। তাহলে কি করা উচিত? হা আমি বলতে চাই, সংসারে স্ত্রীলোকদের উচিত তার স্বামীর প্রতি যত্নবান হওয়া। স্বামী যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তাকে কোনো কঠিন সমস্যার সম্মূখীন হতে হবে না। স্বামীর শারীরিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখা, পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়ার খোঁজ খবর রাখাও স্ত্রীকেই রাখতে হবে। আমার মতে যার স্ত্রী যত বেশি স্বামীর যত্ন নেয়, তার স্বামী তত স্মার্ট হয়। স্ত্রী যদি তার স্বামীর যত্ন বেশি নেয়, তাহলে তার স্বামী বেশি দিন বাঁচবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার লক্ষ্য করে দেখবেন, এই সমাজ সংসারে যে জিনিসটাকে যত বেশি যত্নে রাখা হয়, সে জিনিসটা তত বেশি টেকসই হয়। তাই, স্বামীকে দীর্ঘজীবি করতে স্ত্রীকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। 

Friday, 2 September 2016

মানুষকে অসম্মান করা ঠিক নয়

তখন আমার বয়স থার্টি ওয়ান। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা দেখি চলছে। আমি আমার কর্মস্থলে প্রতি দিনের ন্যায় কর্মদিবস শুরু করতে যাচ্ছি, এমন সময় একটা ফোন এলো। ফোন রিসিভের পর বুঝলাম জেলা শহর থেকে এক ঘটক আসতেছেন। সাথে মেয়ের বাবাও আছেন। মেয়ের বাবা আমার সাথে দেখা করবেন এবং আমার বাসায় ও যাবেন। ঘটক আরও জানালেন যে, ঐ ভদ্রলোকের মেয়ে বেশ সুন্দরী । আমি বললাম, আচ্ছা আসেন; সমস্যা নেই।

আমার সহকর্মীদের বললাম, শহর থেকে ঘটকের সাথে মেয়ের বাবা আসছেন, তাই বিশেষ নাস্তার ব্যাবস্থা করা হোক। কথা মত কাজ হলো। আম্মাজানকে ফোন দিয়ে জানালাম, শহর থেকে ঘটকের সাথে মেয়ের বাবা আসছেন, তাই বিশেষ নাস্তাসহ ২ জনের খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করা হোক। আম্মাজানও কথা মত কাজ করলেন।

ঘন্টা খানেক পর ঘটক এবং মেয়ের বাবা এসে আমার কর্মস্থলে হাজির হলো। তাকে সসম্মানে রিসিভও করা হলো। কিন্তু আমার মনের মাঝে শুরু হলো তোলপাড়। কারণ ঐ মেয়ের বাবার দ্বারা আমি একবার অপমানিত হয়েছি।

সেটা কয়েক মাস আগের কথা। এই ঘটকের মাধ্যমে আমি ঠিক এই মেয়ের বাবার বাসায় গিয়েছিলাম তার মেয়েকে দেখতে। মেয়ের বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তার পেনশনের টাকা দিয়ে তিনি একটি দ্বোতলা বাড়ি বানিয়েছেন। সন্তান ২ টা। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। মেয়েটি বড় এবং ছেলেটি ছোট। আমি যেদিন ঐ ভদ্রলোকের মেয়েকে দেখতে যাই সেদিন ঐ ভদ্রলোকের ছেলেটি ছিলো না।  মেয়ের বাবা আমাদের ( আমি+ ঘটক ) দ্বিতীয় তলার গেস্ট রুমে বসতে দিলেন। চা-নাস্তা দিলেন। খেলামও আমরা। তার পর মেয়ে দেখার পালা। কিন্তু মেয়ে আমাদের সামনে আস্তে চাইছে না। ঘটকের কাছে জানতে চাইলাম, কি ঘটতে চলেছে। ঘটক মেয়ের বাবার কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে জানতে চাইলেন, কি ভাই মেয়ে কি দেখাবেন না ? কথাটা আমি শুনেই ফেললাম। সেই মুহুর্তে নিজেকে খুব ছোট লাগছিলো। একটু পর মেয়ের বাবা সব কথা খুলে বললেন। বললেন, আগামী সপ্তাহে মেয়ের বি সি এস এর রেজাল্ট হবে। আমরা দেখতে চাচ্ছি রেজাল্টে কি হয়, না হয় ? আমি আর দেরি করলাম না। ঘটককে নিয়ে তাড়াতাড়ি ঐ বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।

এবার আসা যাক আগের কথায়। আমি তো ঘটকের উপর ক্ষিপ্ত। ঘটককে আমার কর্মস্থলের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে বললাম, এই লোককে আমার কাছে কেনো নিয়ে এসেছেন? ঘটক সোজাসুজি বলে ফেললেন, উনার মেয়ের বি সি এস এর চাকুরিটা হয়নি। তাই এখন তিনি আপনার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। এখন আপনি কি বলছেন তাই বলেন। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে বললাম, ভাবলেন কি করে আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করবো। ওই মেয়ের যদি বি সি এস এ চাকুরি হতো তা হলে কি আমার সাথে বিয়ের কথা ভাবতো ? ভাবতো না। ওনার মেয়ের দাম আছে, আমার দাম নাই। এ কথা শুনে ঘটক একদম বে-আক্কেল সেজে গেলো।

 ঘটককে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে এবার ঠান্ডা মাথায় বললাম, আপনি ওনাকে নিয়ে ফিরে যান। আমি ওনার মেয়ের সাথে বিয়ে করতে ইচ্ছুক নয়। ঘটক সেটাই করার চেস্টা করল।

যাবার সময় মেয়ের বাবা আমাকে অনুরোধ করে বলল, বাবা আপনার মায়ের সাথে কি আমাকে একবার দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া যায় না। আমি বলেছিলাম, না।

 আম্মাকে ফোন করে জানিয়েছিলাম, মেহমানদ্বয় আজ আর আসবেন না। বাসায় এসে সব বলব।

বাসায় আসার পর আম্মাকে সব কথা খুলে বললাম। আম্মাজান সব কথা শোনার পর আমাকে বললেন, তুমি এখনো সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওনি। ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। তুমি মেয়ের বাবাকে অসম্মান করেছ। কাউকে অসম্মান করে তুমি সম্মানিত হতে পারো না।

আমার মাথা একদম নিচু হয়ে গেলো।