আমি একদিন বাড়ির সামনে বসে আছি। হঠাৎ আনু ( আনোয়ার ) ভাই কোথা থেকে যেনো আসলো। এসে আমাকে বললো, "আমি কয়েকদিন যাবৎ একটা বিষয় নিয়ে ভাবছি। আর সেটা হলো, অনেক মানুষ যে বলে এই পৃথিবীতে ইনসান ( মানুষ ) ছাড়াও জ্বীন জাতি (জ্বীন ও পরী ) বসবাস করে। এই জ্বীন ও পরীদের আমরা কখনো দেখতে পায় না। কিন্তু তারা আমাদের দেখতে পায়। তারা কখনো কখনো আমাদের ক্ষতি সাধন করে থাকে। এটা আমাদের সমাজে মাঝে মাঝে দেখতে পাই। মাঝে মাঝে শুনে থাকবি, অমুক মেয়েটাকে জ্বীনে ধরেছে, অমুক ছেলেটাকে পরীতে ধরেছে। এখন আমার কথা হলো জ্বীন ও পরীদের যদি আমরা দেখতে না পাই, আর তারা যদি আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেই থাকে তবে তো পৃথিবীতে মানুষের বাস করাই দায় হতো। জ্বীন-পরীরা যদি সবাই মিলে আমাদের চড়াতে থাকতো তাহলে আমাদের চড় খেতে খেতে জীবন যেতো। তারা যদি মনে করতো, তারা আমাদের মেরে ফেলবে, তাহলে আমরা রাস্তাঘাটে মরে পড়ে থাকতাম। কেননা, তারা যদি আমাদের আক্রমণ করে, আমরা শুধু মার খেতেই থাকবো এবং এক সময় মরে যাবো। তাদের তো আমরা দেখতো পাবো না। তাই আমরা পাল্টা আক্রমন ও করতে পারবো না। প্রতিশোধ ও নিতে পারবো না।"
আমি বললাম, "আনু ভাই তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?"
আনু ভাই বললো, আসলে জ্বীন-পরী বলে কিছুই নাই। এই যে আমরা বলি, অমুক মেয়েটাকে জ্বীনে ধরেছে, অমুক ছেলেটাকে পরীতে ধরেছে। এই ছেলে- মেয়েগুলো যে বয়সেরই হয়ে থাকুক না কেনো দেখবি তারা নিরক্ষর এবং গরীব। আসলে তাদের জ্বীন বা পরীতে ধরেনি। আসলে তারা রোগে ভুগছে। কেটে যাচ্ছে জ্বীন-পরীর নামে। আচ্ছা এমন কথা কখনো শুনেছিস যে অমুক ডিগ্রী পাস মেয়েটাকে জ্বীনে ধরেছে, অমুক মাস্টার্স পাস ছেলেটাকে পরীতে ধরেছে? শুনিসনি এই তো। কোনোদিন শুনবিও না। এসব হলো ভাওতা বাজি। আসলে জ্বীন পরী বলে কিছুই নাই।"
আমি বললাম, "কোরআন শরীফে তো জ্বীন-পরীদের ( জ্বীন জাতি )অস্তিত্ত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে।"
আনু ভাই আর কোনো যুক্তি প্রদর্শন করতে পারলো না। আমি সেই ফাঁকে বাড়ির ভেতরে কাজ আছে এমন অজুহাত দেখিয়ে কেটে পড়লাম।
No comments:
Post a Comment