Tuesday, 13 September 2016

প্রেমিকাকে পার্মানেন্ট জীবন সাথী করার টিপস

আজ আমি আপনাদের মাঝে একটা থিম তুলে ধরবো। যেটা ভাবা খারাপ, শোনা খারাপ এবং করা খারাপ। কিন্তু অনেকেই করে চলেছে। প্রেমিকাকে পার্মানেন্ট জীবন সাথী হিসেবে পাওয়ার জন্য।

তুমি যেই মেয়েটার সাথে প্রেম করছো, সেই মেয়েটাকে কি তুমি জীবন সাথী হিসেবে পেতে চাও? প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছ, মার্কেটে যাচ্ছ, ডেটিং করছ আর বিয়ে করার কথা ভাবতে পারছ না? কেনো ভাবতে পারছ না? ও তোমার জাস্ট বান্ধবী। তাই তো? আসলে বান্ধবীর সাথে কি এতই সময় দেওয়া লাগে? প্রশ্ন করে গেলাম তোমাকে। তোমার বন্ধুরা সবাই সমালোচনা করে তুমি নাকি তার সাথে প্রেমিক হিসেবে প্রেম করো। আর তুমি বলছ জাস্ট বান্ধবী। হা হা হা ; তোমার প্রসংশা না করলেই নয়। কয়েকদিন পর মেয়েটির অন্য যায়গায় বিয়ে হয়ে গেলে তুমি একা একা নীরবে নিভৃতে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদ? তোমার মনের ভেতরের আরেকটা তুমি তোমাকে ধিক্কার দেয়। বলে তুই আসলেই তাকে ভালোবাসতিক। কিন্তু বিয়ে করলিনে ক্যান? তুমি হয়ত বলবে, আমি তাকে সাহস করে কিছুই বলতে পারিনি। ও ওতো তোমাকে ঘর বাঁধার বিষয়ে কিছু বলত না। হা হা হা পুরুষ জাতি। তোমার সাহস নেই ভালোবাসার কথা বলার, তোমার সাহস নেই ঘর বাঁধার ব্যাপারে প্রস্তাব করার। আর তুমি আজ নিজেকে একজন সু-পুরুষ হিসেবে ভাবো। ধিক্কার তোমায়। তুমি আসলে পুরুষ নও, একজন কাপুরুষ।

মনে পড়ে তোমার, তুমি একাকী ছিলে। ও তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো, আর তুমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলে লজ্জার মাথাখেয়ে। সেদিন তোমাকে সে 'আই লাভ ইউ বলেনি', 'ঘর বাঁধার বিষয়ে কিছু বলেনি' কিন্তু তোমাকে জড়িয়ে ধরা দ্বারা সে বোঝাতে চেয়েছিলো যে সে তার সব সব কিছু তোমাকে দিতে প্রস্তত। বিশ্বাস হচ্ছে না? না হলে আমার করার কিছুই নেই। তাহলে এখন তুমি কাঁদ, ডাইলের বোতল ( ফেন্সিডিল ) হাতে তুলে নাও, পচা তামাকের সিগারেটগুলো চুষতে থাকো, বিরহের গানের এলবাম সংগ্রহ করে বিশ্ব রেকর্ড করো, হাত কেটে নাম লেখো আবেদা প্লাস অমুক ( হাবলু )।

এখন প্রশ্ন হলো কি করা যেতো? কি করা উচিত ছিলো?

তার আগে আর একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করি। প্রশ্নটা হলো, হাবলু ( ছেলেটার কাল্পনিক নাম ) যদি মেয়েটাকে আই লাভ ইউ বলতো, সংসার করার/ঘর বাঁধার বিষয়ে আগ্রহ দেখাতো তাহলে কি সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো? উত্তরঃ না, কখনই সব সমাধান হয়ে যেতো না। আবেদা ( মেয়েটির ছদ্দ নাম ) তখন হাবলুকে হাতে রেখে হাবলুর চেয়ে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন প্রেমিক খুঁজে বেড়াত। আসলে মেয়েরা হলো বহুরূপী।
 
কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে চায়,
নারী কভু নাহি চায় একা হতে কারো,
এরা দেবী, এরা লোভী, যত পূজা পায়
এরা চায় তত আরো।
ইহাদের অতি লোভী মন,
একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখিনয়, 

যাচে বহুজন। 

এবার আগের প্রশ্নে আসি।  কি করা যেতো? কি করা উচিত ছিলো? 

হাঁ যেদিন আবেদা হাবলুর অতি কাছে এসেছিলো সেদিন তার উচিত ছিলো তার সাথে সেক্স করা, তার সম্ভ্রম লুটে নেওয়া। আর যদি হাবলু যদি এই কাজটি করতে পারত তাহলে তার প্রেমিকা পার্মানেন্ট হয়ে যেতো। অন্য কোথাও আর যাওয়ার চেষ্টা করতো না। তখন হাবলু না আবেদাই হাবলুর পেছনে ঘুর ঘুর করতো। বার বার ঘর বাঁধার কথা বলতো। অনুনয় বিনয় করতো।

আর এর পরেও যদি আবেদা হাবলুকে ছেড়ে অন্য কোথাও বিয়ে করতো তাহলে হাবলু আর নীরবে, নিভৃতে কাঁদতো না। মনে মনে বলতো; যা শালী, একবার তো তুই আমার কাছে গুদ মারা দিছিস। ( খারাপ ভাষা ব্যবহার করে ফেললাম, পাঠক ভাইয়েরা আমাকে ক্ষমা করবেন )

হা এটাই হলো শ্রেষ্ঠ টিপস। জীবন সাথী করার ইচ্ছা থাকলে তার সাথে প্রেম করার ফাঁকে ফাঁকে সেক্স করার সুযোগ পেলে সেক্সও করতে হবে। তাহলে সে তোমার পার্মানেন্ট প্রেমিকা হবে। আর কারো হওয়ার চেষ্টা করবে না। এই টিপস ৯৯% কার্যকর।

No comments:

Post a Comment