যা বেতন হিসেবে পাই তা দিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাই। সঞ্চয় করা আর সম্ভব হয় না। সঞ্চয় করা না হোক আল্লাহ তায়ালা যে দিব্যি আমাদের চালিয়ে নিচ্ছেন তাতেই আমি মহা খুশি। আমার প্রতি মাসের বেতনের একটা অংশ ব্যয় হয় ভাগিনীর শিক্ষার পেছনে। ভাগিনীকে আমি ঐ টাকা দিই কর্তব্য জ্ঞান করে। কারণ তার বাবা মারা গেছে। আমি যদি ঐ টাকাটা দিই তাহলে ও হয়তো ভালোভাবে তার পড়াটা চালিয়ে যেতে পারবে। টাকা দিতে যে আমার কষ্ট হয় তা আমার ভাগিনী কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারে বলে আমার মনে হয়। যাক ঐ টাকার বিনিময়ে আমি তার থেকে কিছুই পাওয়ার আশা করি না।
সেদিন আমার ভাগিনী আমাদের বাসায় বেড়াতে এসে একজনকে বলছে, মামা স্মার্ট না, সেকেলে! ভালো পোশাক পরে না। গেয়ো মানুষের মতো চলাফেরা করে। চাকচিক্য হয়ে চলে না।
কথাটা আমার কানে আসার পর হার্টে একটু ব্যাথা অনুভব করলাম। মনে মনে ভাবলাম, খালামনি ( ভাগিনী ) আমি প্রতি মাসে অতি কষ্টে তোমার লেখাপড়ার খরচ বাবদ যা দিই, তা দিয়ে যদি স্মার্ট হওয়ার চেস্টা করতাম তাহলে সেই স্মার্টটা তোমার চিন্তা চেতনাকেও ছাড়িয়ে যেতো। তাহলে তাই করি, তোমাকে লেখাপড়ার খরচ না দিয়ে সেই টাকা দিয়ে স্মার্ট হয়ে যাই।
মনের কথা মনেই থাকলো। বলতে পারলাম না। বলব কি করে, আমিতো আমার পরিচিতিতেই বলেছি আমি একটা ভীতু মানুষ! সিম্পল ম্যান এক্স!
No comments:
Post a Comment