Thursday, 15 September 2016

স্মার্ট পুরুষ হতে হলে কি কি করা উচিত

আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো কিভাবে স্মার্ট পুরুষ হওয়া যায়। আপনি যদি স্মার্ট পুরুষ হতে চান তাহলে নিচের কাজগুলো যত্ন সহকারে করুন।

১। রুচিশীল পোশাক পরিধান করাঃ রুচিশীল পোশাক পরিধান করুন। আপনি যে পোশাক পরিধান করছেন তা আপনার পেশার সাথে মানানসই কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

২। কথাবার্তায় আর্ট থাকাঃ কথাবার্তায় একরকম আর্ট রাখুন। স্মার্টভাবে গুছিয়ে কথা বলুন। অতিরিক্ত কথা বলা পরিহার করুন।

৩। ভালো শ্রোতা হওয়াঃ অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন। এক কথায় ভালো শ্রোতা হউন।

৩। শিক্ষিত হওয়াঃ স্টুডেন্ট হলে ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যান। আপনি বাহ্যিক দিক থেকে যতই স্মার্ট হোন না কেনো আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘাটতি থাকলে আপনি শিক্ষিত মহলে মান পাবেন না। শিক্ষিতি না হওয়ার কারণে আপনি বিশেষ বিশেষ যায়গায় হাসির পাত্রও হয়ে যেতে পারেন। তাই পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করা অব্যাহত রাখুন।

৪। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাঃ হাদীসে বর্ণিত আছে,
الطهور شطر الايمان (رواه مسلم)
"পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।" যেহেতু পবিত্র থাকতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও থাকতে হয়। তাই আমি মনে করি, "পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও ঈমানের অঙ্গ।" তাই সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য ধারাবাহিকভাবে নিচের কাজগুলো করুন।

(ক) রুচিশীলভাবে নিয়মিত চুল ছেঁটে রাখাঃ আপনার পেশার সাথে সঙ্গতি রেখে নিয়িমিতিভাবে চুল ছেঁটে রাখুন। প্রতি মাসে ১ বার চুল ছাটলে কোনো রকমে চলে। তবে প্রতি ২০ দিনে ১ বার চুল ছাঁটা ভালো।

(খ) দাঁড়ি গোঁফ কাটা/ছাঁটাঃ স্মার্ট থাকতে হলে দাঁড়ি গোঁফ কেটে পরিষ্কার থাকতে হবে। কেউ যদি দাঁড়ি রাখতে চায় তবে তাকেও দাঁড়ি কেটে সাইজ করে রাখতে হবে। তাহলে তার মুখমন্ডল সৌন্দর্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় দেখাবে।

(গ) বগলের লোম পরিষ্কার রাখাঃ প্রতি ৩য় বার সেভ করার পর একবার বগলের লোম পরিষ্কার করা অবশ্যই উচিত বলে আমি মনে করি।

(ঘ) নাভীর নিচের লোম কাটাঃ ছেলেরা অবশ্যই নাভীর নিচের লোম ( বাল ) যথা সময়ের মধ্যে কাটবে। আমার জানা মতে প্রতি ৪০ দিনে ১ বার নাভীর নিচের লোম পরিষ্কার করা উচিত। সেই সাথে মলদ্বারের আশেপাশের লোম ও ভালোভাবে কেটে ফেলা উচিত। আমি এসব লোম কাটার চেয়ে চেঁচে ফেলা উত্তম বলে মনে করি। এসব লোম চাঁচার সময় সাবধানে রেজার চালাবে। তাড়াহুড়া করবে না। মলদ্বারের আশেপাশের লোম ভালোভাবে পরিষ্কার করলে ( চেঁচে ফেললে ) মল ত্যাগের পর মলদ্বার খুব তাড়াতাড়ি পারফেক্টভাবে পরিষ্কার করা যায়। মলদ্বারের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে কিছু চর্ম রোগ ( খোস পাঁচড়া, দাঁদ ইত্যাদি ) থেকে বাঁচা যায়।

পেনিশের আশেপাশের লোম পরিষ্কার করার সময় অবিবাহিত ছেলেদের পেনিশ সাধারণত খাড়া হয়ে যায়। তখন রেজার ব্যবহার করে লোম চাঁচা বেশ কষ্টকর হয় । তাই এই সমস্যা দূর করার জন্য অবিবাহিত ছেলেরা শুখকর কৃত্রিম সেক্স ( যে হস্তমৈথুনে সাধারণত শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না ) করে নিতে পারে। এতে বীর্য স্খলন হবে এবং পেনিশ নেতিয়ে পড়বে। ফলে পেনিশের আশে পাশের লোম চাঁচা কষ্টদায়ক হবে না।

বুকের লোম খুবই বড় হয়ে গেলে তা যদি অস্বস্থির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে বুকের লোম কেটে ছোট করে রাখা যেতে পারে। এতে বুক খুব সুদর্শন হয়ে উঠবে। স্ত্রীর কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠার জন্য বুকের অতিরিক্ত লম্বা লোম ছেঁটে ফেলা গোছের বাড়াবাড়ি কিছু নয়।

(ঙ) নখ ছোট রাখাঃ প্রতি সপ্তাহে ১ দিন অবশ্যই নখ কাটবে। বৃহস্পতিবার নখ কাটা সুন্নত। তাই নখ কাটার জন্য এই দিনটিকে বেছে নিতে পারো।

(চ) নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করাঃ প্রতিদিন ২ বার ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করবে। সকালে খাওয়ার পর এবং রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা আমার কাছে উত্তম বলে মনে হয়। অনেকে মনে করে সকালে খাওয়ার আগে এবং রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত। আপনারও যদি তাই মনে হয় তাহলে আপনি ও তাই করতে পারেন।

৫। মেয়েদের সাথে অতিরিক্ত মেলামেশা না করাঃ আমি অবিবাহিত ছেলেদের বলছি, তোমরা মেয়েদের সাথে অতিরিক্ত মেলামেশা করবে না। এতে তোমাদের ওয়েট বাড়বে না বরং তোমাদের ওয়েট কমবে। মেয়েরা নিজেরাও মেয়ে ঘেষা ছেলে বেশি পছন্দ করে না। তারা মেয়ে ঘেষা ছেলেদের জীবন সাথীও করতে চায় না। চাকরের মত ব্যবহার করতে চায়। তাই সাবধান। মেয়েদের সাথে অতিরিক্ত মেলামেশা করবে না।

৬। নিজের বেডরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাঃ অবিবাহত হলে নিজের বেডরুম নিজেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখবে। নিজের পোশাক পরিচ্ছেদ ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিজেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে।

No comments:

Post a Comment